আখাউড়ায় শ্বশুর বাড়িতে যুবকের আত্মহত্যা, ৭জনের নামে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 14 July 2023, 129 বার পড়া হয়েছে,
নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে রাসেল মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী, শ্বাশুড়ি সহ ৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে নিহতের মা আরজু বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। নিহত রাসেল আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের মো. আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামীরা হলেন, নিহত রাসেলের স্ত্রী শামীমা আক্তার (২৬), শামীমার মা হালিমা (৬০), বড় ভাই বেদন ভূইয়া (৪৫), সুমন ভূইয়া (৪০), রাজন ভূইয়া (৩৫), বড় বোন দিপালী (৩০) ও বড় কুড়িপাইকা গ্রামের সুরুজ ভূইয়ার ছেলে সাকিন ভূইয়া (৩৫)।

গত রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আত্মহত্যা করেন রাসেল মিয়া।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল জানান, নিহত রাসেলের মা বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে বিচারক ফরহাদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আখাউড়া থাকাকে এই সংক্রান্ত আর কোন মামলা আছে কিনা, তা জানাতে বলা হয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়, ৭ বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। তাদের ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু শামীমা নানান জায়গায় বিচরন করতেন। এছাড়াও একাধিক পর পুরুষের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমালাপ ও ব্যভিচার সহ ইত্যাদি অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতেন। স্বামী রাসেলের আদেশ-নিষেধ না মেনে তার খেয়াল-খুশিমত উশৃংখল জীবন যাপন শুরু করে। শামীমাকে বুঝিয়ে ভালভাবে ঘর-সংসার করতে অনুরোধ জানালে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করতো। বহু চেষ্টা করেও শামীমাকে ভাল পথে ব্যর্থ হয় রাসেল।
রাসেল তাকে বুঝালেও উল্টো শামীমা তার মা, ভাই ও বোনের কু-প্ররোচনার বিনা অনুমতিতে বাবার বাড়িতে চলে যায়। বাবার বাড়িতে থেকে রাসেলকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কটু কথা ও অযৌক্তিক দাবী-দাওয়া উত্থাপন করে মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে। রাসেল মিয়া নিজ সন্তানের ভবিষ্যত ও পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে শামীমার সাথে সম্পর্ক অটুট রেখে আসছিল। তারপরও রাসেলকে কারণে-অকারনে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে আত্মহত্যা করতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। অবশেষে শামীমা, তার মা, ভাই ও বোনের মানসিক নির্যাতনে রাসেল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।