সামিনা চৌধুরী বলেন, বুলবুল ভাই অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ ছিলেন। এই বইটিতে বুলবুল ভাইয়ের সাথে আমাদের সম্পর্কের নানান বিষয় উঠে এসেছে। এই স্মারকগ্রন্থ থেকে আপনারা একজন অন্যরকম বুলবুল ভাইকে খুঁজে পাবেন।
এ সময় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বড়বোন রোখসানা তানজিম মুকুল বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে আবেগঘণ ভাষায় ভাইয়ের যুদ্ধদিনের এবং মৃত্যুর পূর্বের দিনগুলোর কথা বর্ণনা করেন।
স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক গাজী তানভীর আহমদ বলেন, বুলবুল চাচা ছিলেন একজন শিশু-মানুষ। এই মহান মানুষটির নিকট থেকে আমি মানুষ হতে যেসব গুণের প্রয়োজন তার অনেক কিছুই শিখেছি। আমি দেখেছি একজন প্রকৃত মানুষ-আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে। সেই গুণের মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই আমার দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি সময়ের প্রচেষ্টার ফসল আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্মারকগ্রন্থ।
সভাপতির ভাষণে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, বুলবুল দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। আমরা তাঁর কাছে ঋণী। বুলবুল দেশের জন্য ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়েছে। তাঁর ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আমরা তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি। বুলবুলও নিরাপত্তাহীনতা বোধ থেকে বাসা থেকে খুব একটা বের হতো না। একজন সৃষ্টিশীল মানুষ বন্দিত্বে থেকে তার সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে পারেন না। এটা ছিল আমাদের জন্য চরম ব্যর্থতার।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বুলবুলের একাত্তরের যুদ্ধকালীন বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহিউদ্দিন হায়দার খোকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কণ্ঠশিল্পী লীনু বিল্লাহ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ড. মতিন রহমান, ছটকু আহমেদ, গাজী মাহবুব প্রমূখ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন, নান্দনিক উপস্থাপক আব্দুল মতিন শিপন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণীসহ দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, পরিচালক-প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, পরিবারের সদস্য এবং সংগীত সংশ্লিষ্টজনসহ আরও অনেকের স্মৃতিচারণমূলক মূল্যবান লেখায় সমৃদ্ধ রয়েছে এই স্মারক গ্রন্থটি।
এই স্মারক গ্রন্থে রয়েছে দেশের বিশিষ্ট লেখকদের নিবেদিত ছড়া ও কবিতা, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের স্বরচিত কবিতা, নিজস্ব হাতের লেখা, কালজয়ী দেশাত্মবোধক, চলচ্চিত্র এবং অ্যালবামের নির্বাচিত ১০০ গানের নেপথ্য ইতিহাসসহ সম্পূর্ণ গীতিকবিতা।