সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক,তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান,বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী-আবৃত্তিগুরু হাসান আরিফের মহাপ্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকমিছিল ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌর আধুনিক মার্কেট সড়ক,জেলা সদর হাসপাতাল সড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ সভাপতি রোকেয়া দস্তগীরের সভাপতিত্বে ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক উত্তম কুমার দাসের সঞ্চালনায় শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবদুল মান্নান সরকার, নারী সংগঠক নন্দিতা গুহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এড. তাসলিমা সুলতানা নিশাত, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মনির হোসেন,নাগরিক ফোরাম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সিটি কলেজ অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, উদীচী সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান,খেলাঘর সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার,সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, কবি শৌমিক সাত্তার, রক্তদান সংগঠন আত্মীয় সমন্বয়ক সমীর চক্রবর্তী ও সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসির।
সভায় বক্তাগণ বলেন,হাসান আরিফ আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সাহসী কন্ঠস্বর ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে থাকাই হবে হাসান আরিফকে শ্রদ্ধা জানানো। বক্তাগণ নতুন প্রজন্মের সংস্কৃতিকর্মীদের হাসান আরিফের জীবন ও সংগ্রামশীলতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শিল্পের পথে মানুষের কথা বলবার আহবান জানান।