
মো. আজহার উদ্দিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কুরবানির ঈদ মানেই ব্যস্ততা, প্রস্তুতি আর পশুপ্রেম। আর এই উৎসবের মাঝে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা গৌতমপাড়ার জামানুল এগ্রো ফার্ম–এ জন্ম নিয়েছে এক ব্যতিক্রমী উন্মাদনা। বিশালদেহী এক গরু, নাম তার ‘কালা মানিক’।
প্রায় ৯০০ কেজি ওজনের এই নেপালি জাতের ষাঁড়টি যেন ঈদের মাঠে এক জীবন্ত বিস্ময়। দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। তবে শুধু দাম নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে ভালোবাসা, নিরলস পরিশ্রম আর এক খামারির মমতা।
খামারের কর্ণধার ডা. আবু হামেদ বাবু চার বছর ধরে গরু পালন করছেন নির্ভরতা ও সততার সঙ্গে। ‘কালা মানিক’ তাঁর সেই পরিশ্রম ও নিষ্ঠার এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি। ছোটবেলা থেকে সন্তানের মতো করে বড় করেছেন গরুটিকে। খাওয়ানো হয়েছে নিজস্ব জমির ঘাস, ভুট্টা, সাইলেজ ও বিশেষ খাদ্যমিশ্রণ। একফোঁটা ইনজেকশন বা কেমিক্যালের ছোঁয়াও লাগেনি তার শরীরে—যা আজকের দিনে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
খামারের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন,
“আমরা কেবল গরু বিক্রি করি না—বিক্রি করি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। প্রতিটি গরুই আমাদের পরিবারের সদস্য, আর ‘কালা মানিক’ হলো সেই পরিবারের রাজাধিরাজ।”
খামারে রয়েছে আরও ১৮টি উন্নত জাতের গরু ও ৭টি মহিষ। প্রতিটি প্রাণী সুস্থ, পরিপুষ্ট ও বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত।
প্রতিদিন শত শত আগ্রহী মানুষ ভিড় করছেন কালা মানিককে এক নজর দেখতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন, কেউবা আগ্রহ দেখাচ্ছেন কিনে নেওয়ার।
‘কালা মানিক’ এখন শুধু একটি গরুর নাম নয়—এটি একটি গল্প, একটি আবেগ, এক খামারির আত্মার স্পর্শে বড় হওয়া এক জীবন্ত স্বপ্ন।