কৃষিভিত্তিক রোবট ও ড্রোন তৈরী করে আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেল আশুগঞ্জের রোবোটিক্স দল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 5 November 2023, 133 বার পড়া হয়েছে,
মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : রোরোটিক্স চর্চায় অসামান্য অবদান রেখেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের একটি  বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিশোর  এই রোবোটিক্স দলটি দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে।
সম্প্রতি  মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব উদ্ভাবন প্রতিযোগীতা ও প্রদর্শনিতে তাদের নির্মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৃষিভিত্তিক রোবট ও
হেক্সাকপ্টার ড্রোন প্রদর্শন করে জিতেছে প্রথম পুরস্কারসহ স্বর্ণপদক। তাদের এমন উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধতে এই জেলাকে – এগিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
২০১৭ সাল থেকেই আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ  কেন্দ্রে উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে শিক্ষক মঈন উদ্দিনের সহায়তায় রোবট ও রোবোটিকস সম্পর্কে জানতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা । ২০২১ সালে রোবোটিকস চর্চার জন্য ‘ড্রিমস অব বাংলাদেশ’ নামে একটি দল গঠন করে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহদির ও তার সহপাঠীরা। এরপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলা থেকে আসতে থাকে পুরস্কার। পরের বছরই নটর ডেম কলেজের সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত ‘নটর ডেম অ্যানুয়াল সায়ন্সে ফেস্টিভ্যাল’ প্রতিযোগিতায় ছয়টি দেশের মধ্যে ‘প্রজেক্ট ডিসপ্লে’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ‘ড্রিমস অব বাংলাদেশ’।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় ২২ সেপ্টেম্ব থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ৫ম বিশ্ব উদ্ভাবন প্রতিযোগীতা ও প্রদর্শনিত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয়  আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাহদিরের নেতৃত্বে  একটি দল। যুক্তরাষ্ট্র সহ ১৯টি দেশের ৪০৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তাদের তৈরি কৃষিভিত্তিক রোবট ও হেক্সাকপ্টার ড্রোন জিতেছে প্রথম পুরস্কারসহ স্বর্ণপদক।
এছাড়া অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈন উদ্দিন পেয়েছেন সেরা তত্ত্বাবধায়কের পুরস্কার। টিমের সদস্যরা জানান, তাদের তৈরী রোবট মাটির প্রকৃতি বুঝে বীজ বপন করতে পারে। জমিতে সেচ দেওয়া, উপযুক্ত ও অনুপযুক্ত মাটি শনাক্ত করা, এসবও করতে সক্ষম।
এছাড়া হেক্সাকপ্টার (কৃষি ড্রোন) ফসল ও পশু সম্পদ পর্যবেক্ষণে সক্ষম। বাংলাদেশী পণ্য দিয়ে তৈরী করে তা বাজারজাত করার পরিকল্পনার কথা জানালেন কিশোর আবিষ্কারকরা। ভবিষ্যতে ও তারা তাদের কাছের এ ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও বড় কিছু করতে চায়।
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তুলতে একাধিক টিম গঠনের কথা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব ভূইয়া।
রোবোটিক্স্র নিয়ে জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে ক্লাব বা সেল গঠনের পরিকল্পনার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম। প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে যাবে দেশ এমনটাই প্রত্যাশা সবার।