মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় বাবা-মায়ের ঝগড়া থামাতে না পেরে মো. রনি (১৪) নামের এক কিশোর কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে রনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। রোববার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
রনি সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামের উত্তর পাড়ার কবির মিয়া ও শাহানা বেগমের ছেলে৷
হাসপাতাল সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রনি ঢাকায় একটি জুতার কারখানায় কাজ করে। কবির মিয়া ও শাহানা বেগম তাদের বিয়ের পর থেকে বনিবনা ভাল ছিল না। ছেলেমেয়েদের সামনে প্রায় সময় ঝগড়া করতো। মা-বাবা’র এসব ঝগড়াবিবাদ রনি পছন্দ করতো না। গত ২-৩ আগে রনি বাবা-মায়ের সাথে ভৈরব নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে কবির মিয়া ও শাহানা বেগম আবার ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। পরে রনি রাগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে এসে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
পরিবারের লোকেরা রনিকে বমি করতে দেখে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে রাত ১টার দিকে রনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে তা হাসপাতাল সূত্রে জেনেছি।