ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের মাদক সম্রাট বিল্লালের সেকেন্ড ইন কমান্ড মাদক কারবারি হৃদয় ঠাকুরকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সরাইল সদরের বড় দেওয়ান পাড়া নিজের উঠান থেকে ১০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হৃদয় ঠাকুর উপজেলা সদরের বড় দেওয়ান পাড়ার সেলিম ঠাকুরের ছেলে। হৃদয়সহ এই পর্যন্ত শুধু বড় দেওয়ান পাড়া থেকে ৪ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদক সম্রাট বিল্লালের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন হৃদয় ঠাকুর। বিল্লাল নিষিদ্ধ মাফক ইয়াবা ট্যাবলেটের পাইকার। বড় বড় চালান অনেকটা প্রকাশ্যে হেঁটে হেঁটে বিক্রি করে যাচ্ছিলেন হৃদয়। গত দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে হৃদয় ও তার একাধিক সহযোগি বড়দেওয়ান পাড়া, সাহা পাড়া, বড্ডাপাড়া, গরূ বাজার ও হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় ঘুরে ফিরে বিভিন্ন সিগনালে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে। তাদের মাদক বিক্রির বিষয়টি ছিল অনেকটা ওপেন সিক্রেট। অধিকাংশ ক্রেতা মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে।
উল্লেখিত এলাকার ওঠতি বয়সের ছেলেরা দিনদিন আসক্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ অভিভাবক বিষয় গুলো জেনেও ভয়ে মুখ খোলার সাহস করছেন না। মাদকের বিরূদ্ধে সরাইল থানা পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে এক মাস আগে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে কারবারিদের গ্রেপ্তার করছেন। হৃদয়ের আগে শুধু বড়দেওয়ান পাড়া গ্রাম থেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে আনোয়ার, শিপন ও কবির নামের মাদক কারবারি। এরপরও থেমে ছিল না হৃদয়। অব্যাহত ছিল তার মাদক বিক্রি। পুলিশও তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হৃদয়ের বাড়িতে এসআই মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালায় একদল পুলিশ। অভিযানকালে পুলিশ ১০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হৃদয়কে তার উঠান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। হৃদয় গ্রেপ্তারের খবরে ওইসব এলাকার সাধারণ লোকজন স্বস্থ্যির নি:শ্বাস ফেলছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ভয়ংকর মাদক কারবারি হৃদয়। বড়দেওয়ান পাড়াসহ সেই আরো কয়েকটি মহল্লায় সে মাদকের বিপুল বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। শুক্রবার হৃদয়কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছি।