জুয়েল মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন দিয়ে ব্ল্যাকলিস্টেড দুই বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীকে ভারত পালাতে সহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে।ব্ল্যাকলিস্টেড পাসপোর্টধারীকে ভারত যেতে দেওয়াসহ যাত্রীদের হয়রানীর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে৷ যদিও ২০২১ সালে কুমিল্লা জেলায় আব্দুল হামিদের বদলি হয় তবুও তিনি রহস্যজনক কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশনেই বহাল থাকেন।
অনুসন্ধান করে দেখা গেছে,দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির পাসপোর্ট যার নম্বর ইএ ০০৮১৪৯৪ ও আশরাফুল ইসলাম নামে আরেকটি পাসপোর্ট যার নম্বর ইবি ০৬৬০৭২৮।
এই দুই ব্ল্যাকলিস্টেড পাসপোর্টধারীকেই ইন্ডিয়া যেতে ইমিগ্রেশন সিল দিয়েছে আখাউড়া ইমিগ্রেশন। পাসপোর্টের সিল দেখে বুঝা যায়, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে তারা ইন্ডিয়া প্রবেশ করেছেন। পাসপোর্টে একই তারিখে আখাউড়া ইমিগ্রেশনের ডিপার্চার সিলের সাথে আগরতলা ইমিগ্রেশনের এরিভাল সিলও আছে।
এই ব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে কর্মরত মোস্তফা নামে এক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সাথে ওই পাসপোর্ট নাম্বার দুটি দিয়ে যাচাই করতে চাইলে ওই পাসপোর্ট গুলো ব্ল্যাকলিস্টেড বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আব্দুল হামিদের সাথে ব্ল্যাকলিস্টেড যাত্রীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অসাধু কিছু সিন্ডিকেট সক্রিয় আছে, তাই নকল সিল মেরে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের নিরাপত্তা তলানীতে এমন প্রশ্নের জবাবে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুল হামিদ বলেন,‘বাংলাদেশে অসম্ভব কিছু নাই। ভিসাও জাল করে ফেলে,ধরাও পড়তেছে। নিরাপত্তা তো আমরা সিল দেয়, যাত্রী আসা যাওয়া করে।তাছাড়া আমি তো ডেস্কে বসিনা,অফিসাররা বসে।’
ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট কম্পিউটারে এন্টি না করে দালালের মাধ্যমে যাওয়া আসা খুব ইজি কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হামিদ বলেন,‘আমাদের এখান থেকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। ইমিগ্রেশনে না এসে কোনো যাত্রী পার হয়ে গেলে সেটা বিজিবি দেখবে, চেক করবে। তাদেরকে(ব্লাকলিস্টেট ওই দুই যাত্রীকে)অবশ্যই সিল দেখে ছাড়ছে। এখন সেই সিল আমাদের না অন্য কারো সিল এটা তো যাচাই করেনা।এটা কি বুঝবে নাকি।’
বাংলাদেশ থেকে ভারতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে যাওয়া আসা সহজ কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে ইমিগ্রেশনে কর্মরত ডিএসবি মোস্তফা সাংবাদিকদের সামনে অশ্লিল ভাষায় বলেন,‘এখন তো অনেক ইজিই।কে আইতাছে(আসতেছে) নাকি চুম্মাইতাছে(চুমু দিচ্ছে), কে ইমিগ্রেশনে ডুকতাছে(প্রবেশ করছে),কে সোজা জাইগ্গাইতাছে(চলে যাচ্ছে) কোনো খবর আছে নাকি।’
অসাধু চক্র জালিয়াতি করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে ইমিগ্রেশনে না এসে বন্দর দিয়ে সোজা ভারতে চলে যেতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসবি মোস্তফা বলেন,‘আমার ইমিগ্রেশনে না এসে কোনো লোক যদি ইন্ডিয়া চলে যায় সেটা এবং পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের সিল আছে কিনা তা বিজিবি চেক করে। কেউ যদি দুনম্বরি করার ইচ্ছা থাকে তাহলে কে আটকাতে পারবে।বোকাচোদা চোর হলে এই রকম হইতো না।এইগুলো যে চক্রের চোর সেটা হান্ডেড পারসেন্ট।’