পায়ে হেঁটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছেছেন শান্ত, হেঁটে যাবেন ৬৪ জেলায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 17 January 2022, 189 বার পড়া হয়েছে,

পায়ে হেঁটে ৬৪ জেলা ভ্রমণের অংশ হিসেবে অ্যাথলেট সাইফুল ইসলাম শান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে পৌছেছে। সোমবার সকালে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে স্বাগত জানানো হয়। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।

শুক্রবার সকাল সাতটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে শান্তকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা প্রফেসর দিলারা আক্তার খান, বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও রানার্স কমিউনিটির এডমিন মোহাম্মদ রাজন মিয়া, আখাউড়ার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ও রানার্স কমিউনিটির এডমিন আলী আহাদ রতন, রানার কমিউনিটির সদস্য সুমন রায় ও রানার সদস্য রিফাত। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবু হানিফ নোমান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ল থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতক সাইফুল ইসলাম শান্তর বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। শান্ত দেশের বৃহৎ রানিং গ্রুপগুলোর সক্রিয় সদস্য এবং কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ‘দেবিদ্বার রানার্স’ নামে ২ হাজার সদস্যের একটি রানিং গ্রুপ পরিচালনা করে আসছেন।

একজন নিয়মিত অ্যাথলেট হিসেবে তিনি ভ্রমণ, হাঁটাহাঁটি ও ট্রেকিং করে আসছেন। শান্ত গত ১২ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়ে ৪০ দিনে পায়ে হেঁটে দেশের ১৬টি জেলার ১০০০  কিলোমিটার (কুমিল্লা থেকে বাংলাবান্ধা) পথ অতিক্রম করেছেন। এছাড়াও তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গত ২০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে ২৪ ঘন্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার হাঁটার একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছেন।

আগামী ৩ মাসে মোট ৪ হাজার ৫০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে একে একে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা পদযাত্রা শেষে কক্সবাজার জেলায় তার পদযাত্রা শেষ করবেন শান্ত। প্রতিদিন তিনি গড়ে ৫০ কিলোমিটার করে হাঁটবেন।
দেশ ভ্রমণকালে শান্ত প্রত্যেক জেলায় একটি করে বৃক্ষরোপণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরছেন তিনি। দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন কর্মসূচির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে তিনি দেশের তরুণ সম্প্রদায়সহ সকল বয়সের নাগরিকদের মাঝে বেশ কিছু বিষয়ের সচেতনতা বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে- জীবন বাঁচাতে রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা, প্রকৃতি রক্ষায় বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব, পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতা। – সরোদ