মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : র্যাব-৯ ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ক্লুলস হত্যা মামলার ৩ জন আসামী গ্রেফতার।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায় যে , গত ২৩ ডিসম্বর ২০১৮ ইং তারিখ ০৭.১৫ ঘটিকার সময় অটারিক্সা চালক মাঃ বিল্লাল মিয়া (৬০) এর মৃত দেহ আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়ন¯ লামাবায়েক আখড়ার দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্হায় পড়ে ছিল। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী স্হানীয় লাকজনের উপস্হিতি ও পুলিশের সহায়তায় লাশ সনাক্ত করেন এবং লাশের শরীরে পিঠে চুরিকাঘাতর রক্তাক্ত জখম ও গলায় একটি কাটা দাগ পরিলক্ষিত হয়। অতঃপর লাশ ময়না তদন্তের নিমিত্ত সুরতহাল রিপার্টসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্ররণ করা হয়। এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল গত ২৬ ডিসম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ১৭.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পরীবাড়ি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার মামলা নং-২২ তারিখ-২৩ ডিসম্বর ২০২৪ খ্রিঃ, ধারাঃ ৩৯৪/৩০২/৩৪ পনাল কাড ১৮৬০;) এর মূল হত্যার সাথে জড়িত অন্যতম ২ জন পলাতক আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃৃত আসামীরা হলেন, মোঃ আল আমিন (৪০), পিতা- মৃত আব্দুল আজিজ, শরীয়ত নগর, আশুগঞ্জ , মোঃ শেখ রুবেল আহমদ (৩৫), পিতা-মৃত শেখ জহিরুল ইসলাম, তালশহর, পূর্বপাড়া, আশুগঞ্জ, উভয় জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
অপর একটি অভিযানে র্যাব-৯ ও র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল ২৮ ডিসম্বর ২০২৪ইং তারিখ অনুমান ১৫.৩০ ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এমসি বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার মামলা নং-২২ তারিখ-২৩ ডিসম্বর ২০২৪ খ্রিঃ, ধারাঃ ৩৯৪/৩০২/৩৪ পনাল কাড ১৮৬০;) এর মূল হত্যার সাথে জড়িত ১ জন পলাতক আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী দ্বীন ইসলাম (৩৪), পিতা- মৃত মাজু মিয়া, লালপুর নিয়াগাঁও, আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্হা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও, উক্ত মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।