বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ২৫০ শষ্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তার কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ওই শিশুর ভবিষ্যত ও পিতৃপরিচয় নিয়ে চিন্তিত কিশোরীর পরিবার।
ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নে ওই কিশোরী স্থানীয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত বছরের ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় রুবেল মিয়া ও সাইদুল মিয়া (২০) ওই কিশোরীকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন তারা। ভয়ে ওই কিশোরী ঘটনা কাউকে জানায়নি। ৬ মাস পর কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের সদস্যদের চাপে ধর্ষণের ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল ওই শিশুকে ক্লিনিকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই শিশু ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেন।
ওই দিনই শিশুর বাবা বাদী হয়ে রুবেল মিয়া ও সাইদুল মিয়াকে আসামি করে কসবা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করে। সাইদুল পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে ভিকটিমের মা বলেন, ‘আমার মেয়ে সমাজে কীভাবে মুখ দেখাবে? তার বাকি জীবন কীভাবে কাটাবে?’
ভিকটিম বলেন, ‘আমার মুখে গামছা বেঁধে তারা ধর্ষণ করেছেন। এরপর বাড়ি থেকে বের হলে রুবেল আমাকে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখাতেন। আমি তাদের ভয়ে বাড়িতে কিছু বলিনি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গাইনি চিকিৎসক ডা. মারিয়া পারভীন তার সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান ভূমিষ্ঠ করেন। বর্তমানে মা ও মেয়ে সুস্থ আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, জন্মের পরপরই শিশু থেকে ডিএনএ নিয়ে টেস্ট করানো যায় না। এর জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। ভিকটিম, অভিযুক্ত ও শিশুর ডিএনএ টেস্ট করার পর শিশুর পিতা কে তা জানা যাবে।
অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক।