কসবায় বাল্যবিবাহ বন্ধ, জরিমানা আদায় ও জব্দকৃত খাবার এতিমখানায় বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 11 May 2025, 62 বার পড়া হয়েছে,

অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন,বিশেষ প্রতিনিধি : জন্ম মৃত্যু বিয়ে। চিরন্তন এ তিনটির মাঝে প্রথম দু’টি মানুষের নাগালের বাইরে। তৃতীয়টির জন্য বাবা-মা তথা অভিভাবকদের প্রধান কর্তব্য পালনে চিন্তার অন্ত নেই। স্নেহের কন্যা সন্তান শেয়ান হয়েছে। উপযুক্ত পাত্র খোঁজে বিয়ের পিড়িতে বসাতে পারলেই সার্থক। বহু চেষ্টার পর উপযুক্ত পাত্র মিললো। বেশ ঘটা করেই বরের নিকট তুলে দেবে আদরের কন্যাকে। সুখের মালিক আল্লাহ।
অভিভাবকদের যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন। রান্না-বান্নাও শেষ। বর আগমনের প্রতিক্ষায়। হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম কনের বাড়িতে উপস্থিত। জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে দেখেন, কন্যা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অভিভাবকদের ডেকে এনে বন্ধ করে দিলেন এ বাল্য বিবাহ। এ সময় বাল্য বিয়ের আয়োজনের দায়ে কনে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। মজাদার রান্না করা খাবার বিতরণ করেন এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে। ঘটনাটি ১১ মে রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামে সংঘটিত হয়।
জানা যায়, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের বিনাউটি গ্রামের এক প্রবাসী বরের সাথে এ বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। বিয়ে উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। বেলা দেড়টার দিকে বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেন। এসময় তিনি কনের মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও বরযাত্রীগণ স্থান ত্যাগ করেছেন। অপরদিকে বরযাত্রী ও মেহমানদের জন্য রান্না করা খাবার জব্দ করে ব্রাহ্মণগ্রাম এতিমখানা ও সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। চন্ডিদার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী পরদিন বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার এক শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসা ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।