ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ও কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সন্ত্রাস সম্পর্কে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ এর তদন্ত ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাস এর উদ্যোগে এ তদন্ত ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৪ জন লিখিত ও মৌখিক সাক্ষ্য দেন।
এসব সাক্ষ্য নিচ্ছেন গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাস এর আহবায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ নূরুল আনোয়ার, গণ কমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মাওলানা জিয়াউদ্দিন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ কালে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন তারা।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রায় ৫০ মিনিট সময় দেওয়া সাক্ষ্যে তান্ডবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম তার সাক্ষ্যে জানান, ২৫ তারিখ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওষুধ বের হয়ে দেখেন দলে দলে লোকজন ট্রাকে করে আসছেন। অনেকে হেলমেট পড়া ছিলো। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা দিলীপ নাগ বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি এলাকায় হামলা হলে ইউএনও, ওসিকে ফোনে জানালে তারা নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি তারা নিজেরাই বিপদগ্রস্থ আছেন বলে জানান’। অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ অভিযোগ করেন, মাদরাসা ছাত্ররা এ তান্ডব চালিয়েছে। জীবন আচার্য্য নামে এক যুবক জানায়, আনন্দময়ী কালীবাড়িতে হামলার সময় তার উপর আঘাত আসে। ২৮ মার্চ সংসদ সদস্যের অফিসে হামলা হতে দেখে ৯৯৯ এ কল করা হলে সব জায়গায় পুলিশ আছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। মাওলানা ক্বারী আনিসুর রহমান জানান, সবকিছুর নেতৃত্বে ছিলে হেফাজত। মসজিদের মাইকে হাইয়ালাল জিহাদ বলতে তিনি শুনেছেন।