ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদী দখলকারীদের তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এ তালিকা দিতে বলেছেন আদালত।
একই সঙ্গে অবৈধ দখল, দূষণ রোধ এবং সীমানা নির্ধারণের বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা এবং তাকে সহযোগিতা করেন মুহাম্মদ রেজাউল করিম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা বলেন, ‘তিতাস নদী দখল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ দিই। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় আমরা হাইকোর্টে রিট করি। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
‘ডুবোচর আবর্জনায় জীর্ণশীর্ণ তিতাস’ শিরোনামে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পত্রিকার সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩০শে নভেম্বর তিতাস নদী দখলমুক্ত করতে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবেষ্টিত হয়ে আছে তিতাস নদী। এ নদীকে কেন্দ্র করে শহরের অন্যতম বৃহৎ হাট আনন্দবাজার ও জগৎবাজার গড়ে উঠেছিল। এ নদীর ডুবোচর জেগে ওঠা, দখল আর আবর্জনায় নাব্য হারিয়ে তিতাস এখন জীর্ণশীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। পলি জমে গত দুই দশকে তিতাসের তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে।