স্বপের কি আর শেষ ছিলো? না আছে!
অযোধ্যা পাহাড় দেখেছেন কেউ?
না, আমিও দেখিনি।
তবে দেখার কথা ছিলো!
হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি–
কথা হয়েছিলো গত শীতের শেষে
আমরা পাহাড়ে বেড়াতে যাবো।
টুরিস্ট কটেজ ভাড়া নেবো;
দায়-দায়িত্ব সব তোমার!
না, হতে হতেও হয়নি…
তোমার সাথে পাহাড়দর্শন হয়নি আমার।
ভেবো না আমার মনখারাপ হয়েছে;
মন ভীষণ খারাপ হতো,
যদি তুমি কটেজের বদলে
হানিমুন স্যুইট বুকিং দেয়ার কথা বলতে!
অনেক কথাই তো হয়েছিলো;
অযোধ্যার উঁচু পাহাড়ে উঠা তো সম্ভব হবে না;
আমার পায়ে যে বড্ড ব্যথা, শক্তিহীন তীব্রতা।
সীতার পিপাসা মেটাতে রাম বানিয়েছিলো বিশাল এক হ্রদ!
তুমি নিচে বসেই আমাকে উঁচুমেঘ দেখাতে চেয়েছিলে;
আমিও আহ্লাদিত হয়েছিলাম, এই অবেলায়–এতো আলো!
যেখানে সূর্য ডোবে পলাশের রঙে রাঙা হয়ে;
আমরাও দেখেছিলাম রাঙামাটির পাহাড়ের সেই স্বপ্ন…
ময়ূরপাহাড়? না না সর্বোচ্চ টিলা!
দেখা হবে না জানি, স্বপ্ন তো দেখতে পারি…
সয়নি এতো সুখ , আমার কপালে অতিসুখ সয় না!
খুব জানতে ইচ্ছে করে তুমি কেমন আছো?
গিয়েছিলে কি অযোধ্যার পাহাড়ে?
অন্যকারও সাথে?
আমি কিন্তু নিজেকে বুঝিয়েছি নিজের মতো করে;
কিছু মেঘ একাই উড়ে আকাশে, মগ্ন অনাদরে।
আচ্ছা তুমি যদি সত্যিই নিয়ে যেতে চাইতে–
আমি কি যেতে পারতাম?
আমি যে একদমই হাঁটতে পারি না!
আমার পা ক্রমশ শতাব্দীপ্রাচীন বৃক্ষ!
এই তো বেশ হয়েছে–
ফের যদি আয়োজন করো, তবে
হানিমুন স্যুইট বুক দিও কেমন?
টুরিস্ট কটেজের তৃষা মরে গেছে বহুদিন।
HAPPY NEW YEAR —2022