মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সফল অস্ত্রোপচার করে সাবিত্রী (৩০) নামের এক ঝুকিপূর্ণ রোগীর জীবন বাঁচিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন সহকারী অধ্যাপক ডা. রনজিৎ বিশ্বাস।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাবিত্রী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রনজিৎ বিশ্বাস। গত মঙ্গলবার রাতে সাবিত্রী মুমূর্ষু অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
সাবিত্রী সরাইল উপজেলার নোঁয়াগাও ইউনিয়নের আঁখতারা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সমিরয় সরকারের স্ত্রী।
সাবিত্রীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সাবিত্রী শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে পানি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েবিটিস ও নানান রোগে আক্রান্ত ছিল। সাবিত্রী শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেনি। সাবিত্রীর ক্রেটিক্যাল কন্ডিশন দেখে কেউ সিজার করতে রাজি হয়নি। গত শনিবার সাবিত্রী প্রসব ব্যথা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. রনজিৎ বিশ্বাসের অধীনে ভর্তি হয়। পরে রাতেই সিজার করার আগ মূহুর্তে সাবিত্রীর একলামশিয়া ও হার্ট ফেইলিউর ডেভেলপ করেন। হাসপাতালে অভিজ্ঞ এনেস্থিসিয়ান ডা. মমতাজুল হককে সাথে অস্ত্রোপচার শুরু করেন৷ অঅস্ত্রোপচারের মধ্যবর্তী সময়ে সাবিত্রীর আশংকাজনক হয়ে উঠলে দ্রুত অস্ত্রোপচার শেষ করে সাবিত্রীর জীবন বাঁচান ডা. রনজিৎ বিশ্বাস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. রনজিৎ বিশ্বাস স্যার বলেন -এখন পর্যন্ত তিনশোর অধিক একলামশিয়া রুগী অপারেশন করেছি। কোন রুগীর দূর্ঘটনা (মৃত্যু) ঘটেনি। অথচ ইউরোপ ও এই উপমহাদেশের রিসার্চ অনুসারে মৃত্যু হার শতকরা ১০-৩৫%।
তিনি আরও বলেন, সাবিত্রীর অস্ত্রোপচারটি আমার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি সাবিত্রীকে বাঁচাতে পেরে খুবই আনন্দিত। সাবিত্রী সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে।