মেয়েটি মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও স্কুলে পড়াশোনা করেন। স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসির পরীক্ষার্থী। শুক্রবার পাশের একটি বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। কিশোরীকে একা ঘরে রেখে পাশের বাড়িতে যান তার মা। সন্ধ্যার দিকে ওই কিশোরী ঘরের দরজা খুলে অজু করতে যায়। এই সুযোগে পাশের বাড়ির বিল্লাল চৌধুরীর ছেলে হৃদয় (২৮) ঘরে ঢুকে পড়েন। কিশোরীটি ঘরে ঢোকার পর হৃদয় তাকে ঝাপটে ধরে। পরে ঘরে ঢোকেন হৃদয়ের চাচাতো ভাই নোবেল চৌধুরীর ছেলে ইমরান (২১)। তারা দুইজন ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টায় চালায়।
বাধাঁ দেওয়ায় তাকে মাটিতে ফেলে কিলঘুষি-লাথিসহ মারধর করা হয়। কিশোরীটি চিৎকার শুরু করলে পাশের বাড়িতে থাকা মেয়েটির মা দৌড়ে বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের ভেতরে হৃদয় ও ইমরান। এসময় ঘরে ঢোকার কারণ জিজ্ঞাস করলে, তাকে মারধর করে পালিয়ে যান তারা। রাতে ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চাইলে হৃদয় ও ইমরানের পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে হামলা করে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার ভোরে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া জাফরিন টিকলী বলেন, কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে, তার সাথে জোর-জবরদস্তি করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।