ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাহবুব হোসাইন’কে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (৩০ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদেরকে বহিষ্কার করেন। একই সাথে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এমদাদ সাগরকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে দলীয় একটি সূত্র জানায়,চলতি বছরের ৩১মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ যোগদান করেন। তবে সহ-সভাপতি জিয়াসমিন শান্তা, এম সাজ্জাদ হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর জব্বার রাজ নাসিরনগর না গিয়ে প্রাইভেটকারে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরায় যান। চান্দুরা সড়কের তেলের পাম্পের সামনে থেকে তাদের ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে বিজয়নগর থানা পুলিশ। তাদের ছাড়িয়ে নিতে থানায় ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতাসহ বিজয়নগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাহবুব হোসাইন।
থানায় উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাহবুব হোসাইন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের ছাড়তে পুলিশের ওপর চাপ দেন। পরে মাদক সহ আটক গাড়ির চালক মো. রমজানকে থানায় রেখে বাকি তিন নেতাকে ছাড়িয়ে আনা হয়। আটক গাড়িচালক রমজানের বিরুদ্ধে পরে মামলা দেয় পুলিশ। এই ঘটনাটি জানাজানি হলে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাহবুব হোসাইন’কে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।