কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসদরের পুুরাতন বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে আগুন লেগে ভষ্মিভূত হয়েছে ৩৫টির বেশী দোকান। একটি দমকল বাহিনী সাড়ে ৯টা থেকে আগুন নিভানোর চেষ্টায় নিয়োজিত। দমকল বাহিনী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কসবা পৌর সদরের পুরাতন বাজারের সিএনজি স্টেশন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে জয় হার্ডওয়ার ও ইলেকট্রিক দোকানে রং ও কেমিক্যাল থাকায় আগুন দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। হোটেলে গ্যাস সিল্ডিার, রং এবং কেমিক্যালের ড্রাম একের পর এক বিষ্ফোরিত হতে থাকে। মতি মিয়া মার্কেট, রহমত উল্লাহ মার্কেটসহ আরো কয়েকটি মার্কেটের প্রায় ৩৫টির ও অধিক দোকান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে কসবার কুটি চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস থেকে একটি দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। রাত ১০টার দিকে আখাউড়া থেকে আরো একটি দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তাদের সহযোগিতা করছেন স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মতি মিয়া মার্কেটের মালিক কসবা পুরাতন বাজারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হুদা শিপনের ১০ শতাংশ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত, মৌলভী রহমত উল্লাহ মার্কেট, জয় হার্ডওয়ার মার্কেটসহ কমপক্ষে ৩৫টি দোকান পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জয় হার্ডওয়ার ও ইলেকট্রিক দোকানের মালিক মো. বাবরু মিয়া বলেন, তিন দিন আগে রং, কেমিক্যালসহ অনেক মালামাল আানা হয়েছিল। এসব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিভাবে আগুন লেগেছে কিছুই বলতে পারছি না।
কসবার ফায়ার সার্ভিসের লিডার আবদুল্লাহ খালেদ বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। অন্য একটি যোগ দিয়েছে। আরো ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা করছে। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত, তদন্ত করে বের করা হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরবর্তীতে জানা যাবে।