আপত্তিকর বক্তব্য ও অশ্লীল কথোপকথনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে ক্ষমা চান তিনি।
পোস্টে মুরাদ হাসান লেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী মা, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আমি যে ভুল করেছি, তার জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে মাফ করে দেবেন। আপনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা আমি সবসময়ই মাথা পেতে নেব আমার বাবার মতো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা।
এদিকে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় এই অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেতা জুলিয়াস সিজার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বুধবার বলেন, অভিযোগটি গ্রহণ করে প্রাথমিকভাবে ‘জিডি’ হিসাবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযোগটি পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগে পাঠান হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইবার অপরাধ বিভাগ যদি মামলা করার মত কোনো বিষয় পায় এবং পরামর্শ দেয়, সেক্ষেত্রে শাহবাগ থানায় নিয়মিত মামলা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, বিএনপির এক শীর্ষ নেতার মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই ডা. মুরাদ হাসানের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপের ওই অডিওতে মুরাদ হাসানকে অশ্লীল কথাবার্তা ও নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দিতে শোনা যায়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার।
এর পর সোমবারই মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন মুরাদ।
বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।