ঈদের পর ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর লকডাউন, থাকবে যেসব বিধিনিষেধ

জাতীয়, 13 July 2021, 536 বার পড়া হয়েছে,
জনতার খবর ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারি বিস্তার রোধে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
লকডাউন শিথিলের এই ৮ দিনে অর্ধেক আসন নিয়ে গণপরিবহন চলাচল, সীমিত পরিসরে দোকান-শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আগামি ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। একই সাথে আগামী ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
এক নজরে দেখে নিন আগামী ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঈদ পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধে যেসব শর্ত আরোপ করা হয়েছে-

১। সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।

২। অভ্যন্তরীণ বিমানসহ সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন ও সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে।

৩। শপিংমল/মার্কেটসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

৪। সকল পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৫। সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

৬। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

৭। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৮। ব্যাংকিং/বিমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৯। সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কাজ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

১০। আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রয়, ত্রাপ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্সাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।