জাকারিয়া জাকির : আমাদের গ্রাম আমাদের প্রাণ, জ্বী আমি আমার গ্রাম দক্ষিণ মৌড়াইলের কথা বলছি। যেখানে আজো চলে তোফাপাতি (চড়ুইভাতি) নামে বড় ছোট সবার এক মিলনমেলা। এ সামাজিক বন্ধনের যেন এক বিরল দৃষ্টান্ত।
শত ব্যস্ত জীবনের মাঝেও দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ বড়-ছোট সবাই মিলে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের। এবং শুধু এই গ্রামের নয় শহরের নানা প্রান্তের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও এই চড়ুইভাতি (তোফাপাতি) অনুষ্ঠানে যোগদান করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। সুশীল সমাজের সাংবাদিক, উকিল, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ সহ অনেক জ্ঞানীগুণী থাকেন এই চড়ুইভাতিতে।
এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্ববোধ করি। এই গ্রামে সমাহিত আছেন আমার বাপ-দাদা সহ অনেক পূর্বপুরুষগণ। একটা সময় ছিল, এই মৌড়াইল গ্রামে শুনা যেত পাখির কলতান, গোরস্তানে আশপাশে শোনা যেত শিয়ালের হুক্কাহুয়া ডাক।
কলেজ পাড়ার ও মিশনের পেছনে দাপিয়ে বেড়াতাম মাছ ধরার ছলে। কিন্তু এখন আর আগের মত নেই এই গ্রাম। অট্টালিকায় ভরে গেছে সমস্ত গ্রাম। যদিও এই গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। তবুও বদলায়নি মানুষ, মানুষের মন। আগের মতোই আন্তরিকতা মধ্য দিয়ে প্রতি বছর আমরা মিলিত হয় এই উৎসবে।
এ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন অনেক স্বনামধন্য খেলোয়ার, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক গুণীজন। বিশেষ করে এই মৌড়াইল গ্রামটি এক সময় ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে খেলার জগতে সেরা।
আগের মত সব কিছু এখন না থাকলেও আন্তরিকতার অভাব নেই। নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগিতে আমরা সবাই জানি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের দিনটি ছিল এমনি একটি মিলনমেলার। চায়ের দেশে হয়েছিল চড়ুইভাতি।
আজকের এই আনন্দঘন তোফাপাতিতে ‘মসজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষ থেকে পুরস্কার বিতরণীর আয়োজনটি ছিল আরো বাড়তি আনন্দের।