এনজিওর নামে প্রতারণা, গ্রাহকের ৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 20 November 2021, 358 বার পড়া হয়েছে,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে ‘জনকল্যাণ সংস্থা’ নামের ভুয়া একটি এনজিও।

উপজেলার গোকর্ন ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম, সূচিউড়া ও ডিঘর গ্রামের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় সংস্থাটি।

সংস্থাটি স্থানীয় মানুষের বিশ্বাসের জন্য স্থানীয় যুবলীগ নেতা বকুল চৌধুরীর বাড়িতে অফিস খুলে। গত সোমবার গ্রাহকরা ঋণ নিতে বকুলের বাড়িতে এসে ভুয়া এনজিওর অফিসটি তালাবন্ধ দেখেন।

এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সেখানে অবস্থান নেন। পরে ওই সংস্থাটির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মো. জামাল উদ্দিন নামের এক গ্রাহক।

প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক মাস যাবত ‘জনকল্যাণ সংস্থা’ নামের একটি ভুয়া এনজিওর কয়েকজন মাঠকর্মী ঋণ দেওয়ার নামে গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম, সূচিউড়া ও ডিঘরে প্রচারণা শুরু করেন।

ওই এনজিওর ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম সঞ্চয় বাবদ ১০ হাজার ও ফরম বাবদ এক হাজার টাকা করে উত্তোলন করেন। এভাবে ১৪-১৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় চার লাখ টাকা সংগ্রহ করে সংস্থাটি।

গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস উদ্বোধন ও ঋণ দেওয়ার দিন ধার্য করে সংস্থাটি। ওই দিন সকালে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ঋণগ্রহীতারা এনজিওর দেওয়া ঠিকানা যুবলীগ নেতা বকুল চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘরটি তালাবদ্ধ। বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো উত্তর দিতে পারেনি। তবে স্থানীয় মানুষের ধারণা— এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে স্থানীয় কেউ কেউ জড়িত আছে।

ভুক্তভোগী মো. জিতু মিয়া বলেন, আমি একজন অটোচালক। অটো কেনার জন্য ২২ হাজার টাকা জমিয়েছিলাম। সেই টাকাসহ আমাদের পরিবারের প্রায় ৯০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা বকুল চৌধুরী আমার আত্মীয়। তার বাড়িতে অফিস করেছে বলাতেই আমাদের বিশ্বাস হয়েছিল। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের এলাকার কেউ জড়িত থাকতে পারে।

আরেক ভুক্তভোগী মো. মারুফ মিয়া বলেন, আমি একজন কৃষক মানুষ। কৃষিকাজের জন্য ঋণ নিতে চেয়েছিলাম। উল্টো আমার পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা বকুল চৌধুরী বলেন, ভাড়া দেওয়া আমার ব্যবসা। তারা ভাড়ার জন্য আমার কাছে আসছিল। তবে কথা চূড়ান্ত হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি থানা পুলিশ পরিদর্শককে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।