ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্দেহ করে প্রেমিকের থাপ্পড়, হাসপাতালে তরুণীর লাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 11 October 2021, 515 বার পড়া হয়েছে,

আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সোনিয়া আক্তার (২০) নামের এক সহকারী নার্সের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার রাত ১টার দিকে জেলা শহরের কাউতুলী দি আল ফালাহ হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সোনিয়া আক্তার জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণের আজিজুর রহমানের মেয়ে। সে জেলা শহরের ওই হাসপাতালে থেকেই এক কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে সহকারী নার্সের কাজ করতেন।

হাসপাতাল ও পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোনিয়া আক্তার প্রায় তিন বছর আগে আল ফালাহ হাসপাতালে সহকারী নার্স পদে যোগদান করেন। সেখানে চাকরি করার সুবাদে পাশের রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের স্টাফ মোহাম্মদ শীতলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে।

শীতলের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার নেমতাবাদে। গত দুই বছর ধরে সোনিয়া ও শীতলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি শীতল জানতে পারেন সোনিয়ার আরও একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এ সন্দেহ থেকে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।

রোববার সন্ধ্যায় তারা জেলা শহরের দাতিয়ারার ফারুকী পার্কে দেখা করেন। এ সময় সোনিয়ার সঙ্গে আরও একটি ছেলের সম্পর্কের বিষয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোনিয়াকে থাপ্পড় দেন শীতল। এরপর সোনিয়া তার হাসপাতালে গিয়ে চালে দেওয়ার কেড়ির ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় প্রেমিক শীতলকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে সোনিয়ার মামা মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নির মৃত্যুর খবর পেয়েছি মধ্যরাতে। এরআগে রাত ৯টার দিকে সে তার বোনের সঙ্গে কথা বলেছে। আমার ভাগ্নি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালের কেউ আমাদের এখনো কিছু জানায়নি এবং মর্গেও কেউ আসেনি। আমরা ভাগ্নির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি ওই তরুণী কেড়ির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।