ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনসিপি নেত্রীর আদালতে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 5 December 2025, 10 বার পড়া হয়েছে,
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দলের এক নারী সদস্যকে মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ (৩৪) ছাড়াও মামলায় এনসিপির বিজয়নগরের প্রধান সমন্বয়কারী ও জেলার এক নম্বর সদস্য আমিনুল হক চৌধুরী (৫০), আখাউড়ার প্রধান সমন্বয়কারী ইয়াকুব আলী (৪২), সদস্য সাকিব মিয়া (২৫) ও রতন মিয়াকে (৪২) আসামি করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদস্য ও জেলা শহরের উত্তর মৌড়াইল পুকুরপাড়ের বাসিন্দা বিপাশা আক্তার গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। তিনি আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে বিপাশা তার স্বামীসহ অন্যান্য এনসিপি নেতাদের সঙ্গে দলের ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে ছবি তোলেন। বিপাশার স্বামী কেফায়েত উল্লাহ ছবিটি আখাউড়া এনসিপি গ্রুপে পাঠালে এনসিপি নেতাদের বাদ দিয়ে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে ছবি তোলায় অন্যান্য নেতারা ক্ষিপ্ত হন। এনসিপির আখাউড়ার সদস্য সাকিব বাদী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য লিখে প্রকাশ করেন। বিপাশা বিষয়টি নিয়ে এনসিপি নেতা মো. আতাউল্লাহসহ অন্যদের কাছে বিচার প্রার্থী হন। কিন্তু আতাউল্লাহর নির্দেশেই অন্যান্য আসামিরা বিপাশাকে আরও অপমান-অপদস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
গত ২৯ নভেম্বর বাদী, এনসিপির নেতাসহ সাক্ষীরা শহরের পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার এনসিপির জেলা কার্যালয়ে যান। বিপাশা বিষয়টি নিয়ে এনসিপি নেতা আমিনুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে দলের অন্যান্য নেতারা বিপাশা ও তাঁর স্বামীর প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হন। সে সময় এনসিপির অন্যান্য নেতারা বিপাশাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এনসিপির নেতা ইয়াকুব অন্তঃসত্ত্বা বিপাশার পেটে লাথি মারেন এবং তাঁর গলা থেকে এক ভরি দুই আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। এনসিপির নেতারা বিপাশা ও তাঁর স্বামীকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন।
ইয়াকুব আলী বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে ভাড়া করা সন্ত্রাসী এনে আমাকে মারধর করা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর ঘটনাস্থলে আতাউল্লাহ ভাই উপস্থিত ছিলেন না।
এনসিপির নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ বলেন, ‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমনটি হচ্ছে। অভিযোগ সত্য নয়।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে মামলার নথি এখনো থানায় পৌঁছায়নি।