মো. আজহার উদ্দিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তরুণ রাজনীতিক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া (জিমি হৃদয়)। ছোটবেলা থেকেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দেশপ্রেম তাঁর রাজনৈতিক চেতনায় গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। বাবার মুখে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও সংগ্রামী জীবনের গল্প শুনে ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির প্রতি তাঁর অনুরাগ জন্ম নেয়।
জিমি হৃদয় ২০১৪ সালে তৎকালীন পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাঈদ হাসান সানি এবং তাঁর রাজনৈতিক অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের পরামর্শে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে প্রশাসনের নানা হয়রানির শিকার হন।
২০১৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছর, ২০১৮ সালে একটি বিস্ফোরক মামলায় আসামি হন। তবে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থেকে একচুলও পিছিয়ে যাননি তিনি। ২০২১ সালে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সক্রিয় ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৩ সালে তাঁকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।
কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার অল্প কিছুদিন পর ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর আরেকটি বিস্ফোরক মামলায় তাঁকে আসামি করা হয় এবং পরদিন রেলগেইট চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাসের বেশি কারাবন্দি থাকার পর ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। মুক্তির পরও আন্দোলনের মাঠে থেকে তিনি গণমানুষের দাবি আদায়ে অবিচল থাকেন। গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান চলাকালেও তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
জিমি হৃদয়ের ভাষায়, “৫ আগস্ট আমরা রাজপথে থেকে স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করতে ভূমিকা রেখেছি। জনগণের আন্দোলনের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব ইনশাআল্লাহ।”
আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জিমি হৃদয়। তিনি বলেন “আমি নেতা নয়, ভাই হয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই। ভয়ডরহীন, কল্যাণমুখী ও শিক্ষার্থী-বান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সকল শিক্ষার্থী ভাইবোনদের অনুরোধ করছি—আপনাদের মূল্যবান ভোটে আমাকে জয়ী করুন। ইনশাআল্লাহ, প্রতিটি ন্যায্য দাবির কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করব।