প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পানিশ্বর শোলাবাড়ি এলাকার দুলাল মেম্বারের পক্ষের লোকজন ও একই এলাকার ফরিদ মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে ফরিদ মিয়ার বৃদ্ধা মা ও মৃত গণি সর্দারের স্ত্রী আয়েশা বেগম ঘর হতে বের হওয়ার সময় ঢিল লেগে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. দ্বীন ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বৃদ্ধা মারা যাওয়ার বিষয়ে একেকজন একেক ধরনের কথা বলছেন। কেউ বলছেন ঢিল লেগে আহত হয়ে তিনি মারা গেছেন। আবার কেউ বলছেন বয়োবৃদ্ধ মহিলা, ঘর হতে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়ে মারা গেছেন। এ ব্যপারে তদন্ত করা হলে মারা যাওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। একজন মারা যাওয়ার বিষয়টি জেনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মৃত ব্যক্তি বয়োবৃদ্ধ।
বৃদ্ধার পুত্র শাহ আলমের স্ত্রী শিরিনা বেগম জানিয়েছেন, বাড়ির পাশে দুইপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে বৃদ্ধা আয়েশা বেগম ঘর হতে বের হওয়ার সময় তার উপর ঢিল পড়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তিনি মারা যান।