জাকারিয়া জাকির : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যৌতুকের জন্য ফাহিমা বেগম (২৫) নামে এক গহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত ফাহিমা নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের মো. রিপন মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত ফাহিমার স্বামী একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মারুফ মিয়ার সাথে একই উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যা ও ছেলে সন্তান রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ফাহিমাকে নির্যাতন করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু ফাহিমা যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে তার সাথে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্বামীসহ অন্যরা মিলে ফাহিমাকে পিটিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় তার মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা করেছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত গৃহবধূর বাবা রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকে ভিন্নখাতে নিতেই মুখে ইঁদুর মারার বিষ ঢেলে দেয়া হয়। নিহতের স্বামী অভিযুক্ত মারুফের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, এ রিপোর্ট আমাদের কাছে আছে। লাশ ময়নাদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।