বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
নিহত নারীর ছেলে এনামুল জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তার মা বাড়ির পাশে পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় সাপে কামড় দেয়। বিষয়টি তিনি তার বাড়ির সদস্যদের জানালে স্বজনরা দ্রুত তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা চিকিৎসা দিতে তালবাহানা শুরু করে এবং রাত সাড়ে ১০টায় ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং রক্ত পরীক্ষা করে। রক্ত পরীক্ষা করে সাপের কামড়ের অস্তিত্ব পায়। পরবর্তীতে ইনজেকশন পুশ করে। ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীফা বমি করতে করতে মারা যান।
তবে এ বিষয়ে শরীফার ছেলে এনামুল বলেন, ডাক্তার চিকিৎসা করতে দেরি এবং অবহেলা করায় আমার মা মারা গেছে। দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে আমার মা মারা যেত না। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই প্রশাসনের নিকট।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. আজাদ রহমান বলেন, আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।