ভারত মাইনোরিটি কার্ড দিয়ে খেলার চেষ্টা করছে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ড. মাহমুদুর রহমান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 2 December 2024, 124 বার পড়া হয়েছে,

মো. আবদুল মতিন শিপন : ঐতিহাসিক শহীদ বাবরি মসজিদ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব ফোরামের প্রতিবাদী কনফারেন্সে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকাল ৩ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চে যুব ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক শহীদ বাবরি মসজিদ দিবস উপলক্ষে প্রতিবাদী কনফারেন্স এক জনসভার আয়োজন করেছে। জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাও. জুনায়েদ আল হাবিব, রাজনীতিবিদ আতাউল্লাহ আমিন, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মো. আতাউল্লাহ ও আশরাফ মাহদী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠন করতে হবে। অমুসলিম ভাই-বোনদের নিরাপত্তা দিতে হবে, মন্দির পাহারা দিতে হবে। ভারতের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া যাবে না।” চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, “ইসকন নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাটের কসাই হিসেবে আখ্যা দিয়ে ড. মাহমুদুর রহমান প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বলেন, “আপনি ভারতের মুসলমানদের দিকে নজর দিন, বাংলাদেশের হিন্দুদের দিকে তাকানোর দরকার নেই।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের সংখ্যালঘুদের তুলনায় নিরাপদ এবং রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধায় এগিয়ে। ভারত মাইনোরিটি কার্ড দিয়ে খেলার চেষ্টা করছে যেন বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্র হয়ে পড়ে। ভারত কখনো চায় না বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।” এছাড়াও তিনি বলেন, “যারা নিজেদের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তাদের কোনো অধিকার নেই অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কথা বলার।”

পতিত স্বৈরাচারি হাসিনার ভূমিকা ও তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে প্রত্যেক আলোচক আলোচনা করেন ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের আন্দোলনে গণহত্যা, ২০২১ সালে মোদি বিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা নিয়ে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আ. মোমিন ফুয়াদ এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন যুব ফোরামের আমীর জুনাইদ কাসেমী।