মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ভিকটিম মোঃ জাহিদুল ইসলাম(২৫) চারু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর কভার্ডভ্যান এর হেলপার। চাকরীর সুবাদে গত ২০ নভেম্বর কভার্ডভ্যানসহ কোম্পানির মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় রাত ২:০৪ ঘটিকায় আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় টোল পরিশোধ করিয়া আশুগঞ্জ চরচারতলা টোলপ্লাজার আনুমানিক ১০০ গজ পশ্চিমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর গাড়ি থামাইয়া প্রস্রাব করিয়া পুনরায় গাড়িতে উঠতে গেলে অন্ধকারে ঝোপের আড়াল হতে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ভিকটিমকে ছোরা দিয়ে ঠেক দিয়ে তাহার নিকটে থাকা টাকা পয়সা ও অন্যান্য মালামাল ছিনাইয়া নিতে যায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ১/২ জন ভিকটিমের গলার নিচে বাম পাশে ও বাম হাতে কুনইর নিচে দুইটি ঘাই দেয়। কোম্পানির অন্য কাভার্ডভ্যান আসিলে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতনামারা পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২০ নভেম্বর বিকাল ৩.১৫ ঘটিকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের পিতা মোঃ ফজুল হোসেন(৫২) থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে আশুগঞ্জ থানার মামলা নং-৩২, তারিখ-২৩/১১/২০২৪ইং, ধারা-৩০২/৩৪ রুজু করা হয়। থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত ঘটনার সহিত জড়িত আসামী মোঃ জনি প্রকাশ রনি (২১) কে ২৪/১১/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০০.১৫ ঘটিকায় আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা ফাস্ট গেইট এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে তাহার সহযোগী আসামী মোঃ ফরহাদ সরকার (৩৩), সাগর মিয়া (২৫) নাম প্রকাশ করিলে আশুগঞ্জ টোলপ্লাজাস্থ মসজিদের পশ্চিম পাশে ঘটনাস্থল এলাকা হইতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ঘটনার সময় অন্য একটি কাভার্ডভ্যান চলে আসলে আসামী সাগর মিয়া(২৫) ভিকটিমের গলার নিচে বাম পাশে ও বাম হাতে কুনইর নিচে দুইটি ঘাই মারে এবং সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। মোঃ জনি প্রকাশ রনি(২১) একথা স্বীকার করে ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
উক্ত আসামীদেরকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ঠিকানা সর্ব আশুগঞ্জ উপজেলা জেলা ব্রাহ্মনবাড়িয়া।