স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ইদ্রিস মিয়ার স্ত্রী রুহেনা চুলায় রান্না করছিলেন। এ সময় চুলার ধোঁয়া প্রতিবেশী বাবরের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নারীসহ তিনজন আহত হন।
ঘটনার পর রুহেনা পাশেই বাবা আক্কাস আলীর বাড়িতে চলে যান। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রুহেনা বাবার বাড়িতে অতর্কিতে হামলা করেন বাবরের লোকজন। এ সময় গ্রামের লোকজন দুই পক্ষকে সমর্থন করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামায়।
রুহেনা অভিযোগ করে বলেন, চুলার ধোঁয়া নিয়ে আমাকে বাবর আলীর দুই ছেলেসহ তাদের লোকজন মারধর করে। পরে ভয়ে আমি বাবার বাড়িতে চলে যাই। সেখানে গিয়েও তারা আমাদের ওপর হামলা করে, আমাদের দুই বোনের স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট করে।
বাবর আলী পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, রান্নার চুলার ধোঁয়া নিয়ে আপন দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন সামান্য আহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেনি।