ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, কমতে শুরু করেছে হাওড়া নদীর পানি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 23 August 2024, 18 বার পড়া হয়েছে,
মোঃ নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। ফলে আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মনজুর রহমান।
তিনি জানান, হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। এখন পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে। উজানে বৃষ্টিপাত কমতে থাকায় পানি কমে আসছে। কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরও কমবে। ভারতে বিপৎসীমার নিচে পানি নেমে আসায় আমাদের জন্যে এটা একটা সুখবর।
এদিকে, পানি কমে আসলেও বন্যা কবলিত হয়েছে ৫ হাজার মানুষ। অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্কুলের ভবনে। উঁচু সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা রয়েছে বাড়িঘরে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বুধবার সকালে বন্দরের পাশের খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। পানিতে তলিয়ে যায় আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকাসহ ১০টি গ্রাম। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। বন্ধ হয়ে পড়ে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও যাত্রী পারাপার।
বুধবার রাতে আবারও প্রবল বৃষ্টি হলে কর্ণেল বাজার এলাকার আইড়ল-ইটনা সড়কের হাওড়া নদীর বাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে যায়। এতে করে নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, খলাপাড়া, উমেদপুর, সেনারবাদী, কুসুমবাড়ি, আওরারচর, ছয়ঘরিয়া, বাউতলা, দরুইন, বচিয়ারা, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়ণপুর, ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি, শাকসবজির জমিসহ মাছের ঘের।
এদিকে, কসবায় সালদা নদীর পানি বাড়তে থাকায় কসবায় কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ আটকে পড়লে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়। সকালে ওই এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কায়েমপুরসহ আশপাশের এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।