ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 23 March 2024, 31 বার পড়া হয়েছে,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন কোন মরদেহ উদ্ধার হয়নি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় পুলিশ কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার, মেয়ে মাহমুদা ও ছেলে রাইসুলসহ ৮ জন যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব , নৌ-থানা পুলিশ কাজ করছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর থেকে ফেরার পথে ভৈরব রেল সেতুর ৩ নং পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল। এ ঘটনার পরপর ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরব কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় । নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এছাড়াও ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার (১৮)।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের একটি ডুবরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এদিকে নিখোাঁজদের খোঁজে তাদের পারবার ও স্বজনরা নদীর পাড়ে ভীর করছে।