ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা চেয়ার্যম্যান মো. হানিফ মুন্সির ভাতিজা পায়েল মুন্সি (২৫) এর হেফাজত থেকে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্যরা। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক রেখেই অফিসের দরজা তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় পায়েল মুন্সি।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব সদস্য বাদী হয়ে পলাতক পায়েল মুন্সিকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে উপজেলার আশুগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় হানিফ মুন্সির ছোট ভাই মৃত কামাল মুন্সির ছেলে পায়েল মুন্সির অফিস থেকে এই মাদক উদ্ধার করা হয়।
পায়েল মুন্সি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সির আপন ছোট ভাই মৃত কামাল মুন্সির ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত ফেরীঘাট এলাকায় মাদক কারবারের সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা উপজেলার আশুগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছোট ভাই কামাল মুন্সির ছেলে পায়েল মুন্সির অফিসে অভিযান চালায়। এসময় তার অফিসের র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পায়েল মুন্সি তার অফিসে তালা লাগিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা পায়েল মুন্সির অফিসের উত্তের পাশের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। পরে ঘরে তল্লাসী চালিয়ে রুমের খাটের নিচ থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় ১৫৫ বোতন ফেন্সিডিল, ৯৪ বোটল স্কফ, পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৪০০ গ্রাম গাজাঁ, ১৪০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও রুমের খাটের উপর থেকে একটি ওয়ালটন টাচ মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।
এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাহিদ আহমেদ বলেন, মাদক উদ্ধারের বিষয়ে র্যাবের দায়ের করা মামলা আমরা আমলে নিয়েছি। আলামত বুঝে পেয়েছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করছেন। পাশাপাশি পলাতক আসামি পায়েল মুন্সিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।