সরকার নির্ধারিত মূল্যেই গরু মাংস বিক্রয় করতে হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 20 March 2024, 33 বার পড়া হয়েছে,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : সরকার নির্ধারিত ৬৬৪টাকা ৩৯ পয়সা মূল্যে অপারগতা প্রকাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে গরুর মাংস বিক্রয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে মাংসের মূল্য বাড়ানোর দাবি করে বিক্রেতারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রয় করতে হবে। নাহলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন ফারুক আহমেদ। এছাড়া তাদের সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি আজিজুল হক। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে দাবি দাওয়া পেশ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে। উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত যেন লাভজনক হয়, তা হিসেব করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা। এতেও উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যকের লাভ হিসেব করেই ধরা হয়েছে। সারাদেশেই এই মূল্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ হচ্ছে না বলে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। সারাদেশে যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, তারা অবশ্যই তা মেনে চলবে। কেউ অতিরিক্ত মাংসের মূল্য নিলে তা আমরা দেখবো।
তবে এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হক জানান, জেলা প্রশাসক মাংস ব্যবসায়ীদের বলেছেন, ‘আপনারা আজকে যেমন এসেছেন, কিন্তু আসার আগে মাংস বিক্রয় কেন বন্ধ করলেন? সুবিধা অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন। তখন ব্যবসায়ীরা বলেন সরকারি দরে তারা মাংস বিক্রয় করতে পারবেন না।এখন অতিরিক্ত দরে বিক্রয় করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করবেন। তাই দোকান বন্ধ করছেন। অন্য ৬৩ জেলায় বিক্রয় করতে পারলে, এখানে কেন পারবেন না? তখন জেলা প্রশাসক ব্যবসা চালু রাখার কথা বলেন এবং স্মারকলিপির ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্য মেনে মাংস বিক্রয় করতে হবে।