এসময় বক্তারা বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় মলাই মিয়া, খসরু, মামুনসহ তাদের সন্ত্রাসীবাহিনী পরিকল্পীতভাবে খোকনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। ঘটনায় জড়িতরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। বক্তারা, এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণী পেশার ৩শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ধান ক্ষেতে হাল চাষের ৫০০ টাকা পাওনা নিয়ে কোড্ডা গ্রামের মলাই মিয়া ও শাহআলমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শনিবার (৪ জুন) রাতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষ শালিসে বসে। শালিস চলাকালে মলাই মিয়ার পক্ষের লোকজনের বল্লমের আঘাতে শাহআলমের পক্ষের খাইরুল ইসলাম খোকন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকরাম হোসেন বাদি হয়ে ২৩ জনরে নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে মামলা করে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো- মলাই মিয়া, খসরু মিয়া, মামুন, ইয়াছিন, ফাতেমা, জামাল, মাইনুদ্দিন, বাহার ও একরাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রবাসী খাইরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।