মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ রচিত ভ্রমণগদ্য নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত

সাহিত্য, 17 May 2023, 124 বার পড়া হয়েছে,

সিরাজুল ইসলাম, পৌরসভার বাজার পরিদর্শক কবি এডভোকেট মোঃ হুমায়ুন কবির, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক জামিনুর রহমান, দৈনিক ফন্টিয়ারের বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, কবি মাশরেকী শিপার, মোনোয়ারা হাকিম হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ হোসেন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির লাইব্রেরি কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান, নারী নেত্রী নেলী আক্তার, নদী, প্রাণ ও প্রকৃতির নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন তরীর সদস্য খালেদা মুন্নী, সংগীত শিল্পী ও কবি শাহাদাত হোসের সোহেল, গুঞ্জন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছড়াকার স্বপন মিয়া, সাহিত্য একাডেমির সদস্য কবি রিপন দেব নাথ, সংগীত শিল্পী ঝর্ণা আক্তার।

সভায় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাসিক তিতাস বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক এমএ মতিন শানু, প্লাটফর্ম সম্পাদক-প্রকাশক কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, মুক্তধারা সাহিত্যাঙ্গণ এর সাহিত্য সম্পাদক কবি ইউনুস সরকার, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডটকমের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, জনতার খবর ডটকমের সম্পাদক আদিত্য কামাল, তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, সরকারি মহিলা কলেজের লাইব্রেরিয়ান সুপতা রায়, মো, রিয়াজ উদ্দিন, মিনহাজ শাহরিয়ার রাসেল, সুহেরা আক্তার, তাসফিয়া নূর ঝিলমিল প্রমুখ।

সভায় বক্তগণ বলেন, ভ্রমণ মানুষের চিত্তকে আনন্দিত করে, জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। ভ্রমণগদ্য বা ভ্রমণগল্প ইতিহাস ও সময়কে ধারণ করে। এক এলাকার ইতিহাস-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার অন্য এলাকায় পরিচিত করে তোলে। মানুষে মানুষে হৃদ্রতার সম্পর্ক তৈরী করে। বিশ্ব সাহিত্য ও বাংলা সাহিত্যে অনেক নামী দামী লেখকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভ্রমণকাহিনি রয়েছে। লেখকদের মুন্সিয়ানায় আনন্দ ও অবাক রস সমৃদ্ধ এসব ভ্রমণকাহিনি সব বয়সী পাঠক মনের খোড়াক জোগায়। পাঠক সৃষ্টিতেও ভ্রমণগদ্যের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বক্তাগণ আরো বলেন, সাধারণত মানুষ দূর দেশের ভ্রমণগল্প লিখে থাকে। কিন্তু তরুণ লেখক ও সংগঠক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ নিজ জেলার একটি অংশ নিয়ে যে ভ্রমণগদ্য লিখেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান, নদী, ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপনা, মুক্তিযুদ্ধ, অসম্প্রদায়িক চেতনা, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি বিষয়কে রসাত্বক, চিত্তাকর্ষক, উপমা নির্ভর ও শিক্ষণীয়সহ নানানভাবে উস্থাপনের চেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাঁরা এধরনের ভ্রমণগদ্য প্রকাশ বা ভ্রমণগদ্য নিয়ে মুক্ত আলোচনা এবারই প্রথম হয়েছে অভিমত প্রকাশ করেন। তাঁরা এই ভ্রমণগদ্যকে পরবর্তী সংস্করণে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন করার পরামর্শ দেন। বক্তগণ বিখ্যাত লেখকদের ভ্রমণগল্প পড়ে নিজেকে আরো সৃমদ্ধ করে ভ্রমণগদ্য রচনা কারার জন্য লেখককে উৎসাহিত করেন। তারা লেখকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।