প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ-কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জেলা নাগরিক ফোরামের চিঠি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 12 April 2023, 135 বার পড়া হয়েছে,
নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের দাবীর প্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল যোগাযোগে নতুন একটি ট্রেন চালুর পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ও ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন।

এরই প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পত্র প্রদান করেছেন।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা রতন কান্তি দত্তের নেতৃত্বে নাগরিক ফোরামের নেতাকর্মীরা এ পত্র জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।

এসময় নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং জেলা প্রশাসককেও তারা ধন্যবাদ জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, বীর মুক্তিযোদ্বা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্বা ওয়াসেল সিদ্দিকী, আতাউর রহমান শাহিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর হক মৃধা, কমরেড নজরুল ইসলাম, নিহারঞ্জন সরকার, ফয়সাল আহমেদ ওয়াকার, এড.উত্তম কুমার দাস, জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা.মিঠু, এমরান হোসেন মাসুদ, ফরহাদুল ইসলাম ফারভেছ, আজিজুল আলম সঞ্চয়, আদিত্ব্য কামাল, ফাহিম মুনতাসির, স্মৃতি সবুর, মাহবুব, আল-ফয়সাল, আরফিন, জুয়েল রহমান, বিদু্ৎ বৈদ্য, নাঈমুর নয়ন, জহিরসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া চিঠির বরাত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি মোহাম্মদ শাহগীর আলম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া দীর্ঘকাল ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে রেল অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় দেখা যাচ্ছে। টিকিটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতিতে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে উঠতে গিয়ে দুঃসহ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ট্রেনের আসনসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলভ্রমণ করছেন। উক্ত বিষয়ে বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। রেলভ্রমণে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দুর্দশা লাঘবে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেলপথে নতুন একটি ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ এবং বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনের আসন বাড়ানো প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, যাত্রীদের আসন সংকটের সমাধান হিসেবে বিদ্যমান ট্রেনগুলোতে আসন বাড়ানোর বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন। নতুন ট্রেন চালু ও দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে পাওয়া গোপনীয় প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রস্তাব উত্থাপন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আন্তঃনগর কালনী ও বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ায় জেলা নাগরিক ফোরাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সভা করেছে।
আন্তঃনগর কালনী ও বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ায় জেলা নাগরিক ফোরাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সভা করেছে।
এদিকে, ২০১৮ সাল থেকে কালনী এবং বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
বিভিন্ন সময়ে তারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।
সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে জেলা নাগরিক ফোরাম মানববন্ধন করে ডিসি মোহাম্মদ শাহগীর আলমের কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি দেয়।
সবশেষ গত মার্চ মাসে ডিসির দেওয়া গোপন প্রতিবেদনে বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দৃষ্টিগোচর করলে প্রধানমন্ত্রী তাতে সম্মতি দেন।

এদিকে দাবি অনুযায়ী আন্তঃনগর কালনী ও বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ায় জেলা নাগরিক ফোরাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সভা করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারশীল মোড়ের আমিন কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় এ সভা অনুষ্টিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি ও সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, আতাউর রহমান শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মৃধা, অভিজিৎ বনিক, ফয়সল আহমেদ ওয়াকার, কমরেড নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহ আলম, আবদুল বাতেন নোমান, নিহার রঞ্জন সরকার, সুব্রত রায়, এমরান হোসেন মাসুদ, খবির রানা, শামীম আহমেদ, খালেদা মুন্নী, খায়রুল ইসলাম, আফরিন, ফাহিম মুনতাসির, জুয়েল রহমান, আরমান উদ্দিন পলাশ।
সভায় বক্তারা ডিসি শাহগীর আলমের প্রতিও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি জানান নাগরিক ফোরামের নেতারা।