কোহিনূর আক্তার প্রিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ এর ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩৫টি সামাজিক সংগঠন নিয়ে জেলা শহরের ভাদুঘর আবি-রিভার পার্ক প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মশালার মাধ্যমে সংগঠনটির এ বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়।
প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর উদযাপন কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, সামছুন্নাহার।
প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য মো. বাবুল মিয়া, হাফেজ মুক্তার হোসেন, মো. মাজেদ, মো. নাহিদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনতার খবর এর সম্পাদক ‘আদিত্ব্য কামাল, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কর্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, নান্দনিক উপস্থাপক আব্দুল মতিন শিপন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, রক্তের সন্ধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র এডমিন কাজী শাহীন, বাতিঘরের সভাপতি মোঃ রাকিব, গ্রীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা শরিফ সিদ্দিকী, মুক্তধারা সাহিত্য অঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাজারুল ইসলাম, মানবতা সংগঠনের ফারারি রহমান, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোমান, এছাড়াও প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংগঠনের সদস্যসহ জেলার ৩৫টি সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, রক্তদানের অপেক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিষ্ঠাতা মো. হাসান মিয়া।
প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংগঠনের উপদেষ্ঠা ও সভাপতি সাইফুর রহমান নাহিদ জানান, আমাদের সংগঠনটি ২০১৭ সালের ২০ আগষ্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে সংগঠনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে মানবিক ও সামাজিক কাজ করে আসছে। বর্তমানে প্রিয় পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যরা বিনামূল্যে বিভিন্ন অসহায় রোগীদের রক্ত জোগাড় করে দিচ্ছে। গরীব অসহায় দুস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে নিয়মিত শিক্ষা সামগ্রী, স্কুলের পোশাক বিতরণ করছেন। প্রিয় পরিবার বর্তমানে ক্ষুধার্তদের জন্য প্রতি সপ্তাহের সোমবার এক বেলা দুপুরের খাবার দিচ্ছেন যা গত ১৮ সাপ্তাহ ধরে চলে আসছে।
সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মসজিদে লাশ বহনের জন্য খাটিয়া ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা খরচ ও বিভিন্ন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। সারা দেশে যখন করোনা মহামারির আতংক তখন প্রায় ২৫০টি পরিবারের মাঝে ১ সপ্তাহের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছিল সংগঠনটি। যার সম্পুর্ণ খরচ বহন করেছিল সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলী ও সভাপতি সাইফুর রহমান নাহিদসহ সংগঠনের সকল সদস্যরা।