সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি আকরাম খান।
এসময় শিক্ষক নেতা আকরাম খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু’র সুযোগ্য নেতৃত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় শিক্ষক কর্মচারীদের জাতীয় বেতন ফেলে অন্তর্ভুক্তি, বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ সাড়ে ৫ লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী বেতনের ৫% প্রবৃদ্ধি এবং ২০% বৈশাখী ভাতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার সকল বৈষম্যের অবসান করা লক্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের আন্দেলনে তাঁর প্রশংসনীয় ভূমিকার কারনে এদেশের সাড়ে পাঁচ লক্ষ এমপিওভূক্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মনের মনি কোটায় অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজুকে স্থান করে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে দেশের নজরকাড়া উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। সংসদ হচ্ছে দেশের মানুষের ইচ্ছা, আশা-আকালা ও মুক্ত চর্চার বিকাশ সংসদে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি থাকলেও দেশের বৃহত্তম পেশার শিক্ষক কর্মচারীদের প্রকৃত প্রতি নেই। অথচ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিকি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। গড়ার কারিগর এবং শী প্রযুক্তি যুগে বিশ্বের সাথে সমতালে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মত জাতীয় শক্তি সৃষ্টির হাতিয়ার হচ্ছে। যোগ্য প্রতিনিধির অভাবে সংস গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বাস্তবসম্মত আলোচনা, প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কার্যকর ভূমিকার রাখার ক্ষেত্রে অপূর্ণতা লক্ষ্য করা যায়। আমরা মনে নে বিশ্বাস কী একান্ত ইচ্ছা তারুণ্যনির্ভর ধী-শক্তি ও সৃজনশীল মেধা সম্পন্ন একটি আলোকিত পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা। উক্ত পার্লামেন্টে শিক্ষকদের যোগ্য প্রতিনিধি থাকা আবশ্যক। আমরা আরো বিশ্বাস করি বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুজিব আদর্শের অনুসারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় সিনিয়র যুগগ্ম-সম্পাদক, সহ-সভাপতি, কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা, বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ স্বাশিপ এর সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহা আলম সাজু প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সংসদের সদস্য হবার পূর্ণ যোগ্যতা রাখেন। তাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হোক। স্বৈরাচারী শাসক কর্তৃক একাধিকবার চরমভাবে নিগৃহীত ও জেল জুলুমের শিকার, ছাত্রজীবনে টিউশনির টাকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সন্নিকটে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের নামে জমি ক্রয় করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন । তিনি ১/১১ দুঃসময়ে প্রিয় নেত্রীর মুক্তির দাবীতে সর্বপ্রথম বিবৃতি প্রদান এবং শিক্ষকদের সংগঠিত করে তাঁর মুক্তির আন্দোলন ত্বরান্বিত করণে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তিনি স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রাজপথের লড়াকু সৈনিক, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের সর্বাধিক জনপ্রিয় জাতীয় শিক্ষক নেতা এবং বহিবিশ্বেও তিনি সমাদৃত। তিনি শুধু সকল ছাত্র ও শিক্ষক নেতা নন, নিজ যোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা ও কর্তব্য নিষ্ঠার গুণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেহঘন্য পর পর পাঁচ বার বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিবের গুরু পেয়ে দেশের শিক্ষকদের যথাযত সেবাদান পূর্বক সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।