পলিমাটি সমৃদ্ধ তিতাস জনপদে শিল্প,সাহিত্য, সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যার শৈশব কৈশোরের প্রথম প্রেম এশিয়া মহাদেশের সর্ববহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তরুন প্রজম্মের অগাধ আস্হা ও ভালোবাসায় নানান ঘাত প্রতিঘাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেন জেলার ছাত্ররাজনীতির কর্ণধার,যার দেখানো পথে হাজার হাজার ছাত্রনেতা স্বপ্ন দেখে আগামীর সম্ভবনাময় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশে ছাত্রলীগের ৭৪ বছরের ইতিহাস বাঙালী জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ ও যুক্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী,বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। এমন একটি যুগান্তকারী সংগঠনের কর্মী হওয়া একজন ছাত্রনেতার জন্য অতন্ত্য গর্বের ও অহংকারের।
গণতান্ত্রিক আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জেলার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ শুভন কাজ করে যাচ্ছেন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,ধর্মনিরপেক্ষতা, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে তরুন প্রজম্মকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর সমাজ বির্নিমানে কাজ করছেন।
এই জন্য সে বার বার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির নিশানা হয়েছে,তার ফলস্বরূপ গত ২৬ মার্চ হেফাজত তান্ডবে ছাড় পাইনি তার পরিবারসহ তার সর্মথকরা।বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ লন্ডভন্ড করে প্রাননাশের মত বড় ধরনের হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যায় তার পরিবার।পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে দেওয়া হয় যা ছিল জেলার ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা।কিন্তু পশুজাত নরপিশাচ সে সকল মানুষ জানে না মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, তারুন্যের অহংকার মেধা ও প্রজ্ঞায় দীপ্ত আগামীর জেলার উন্নয়নের কর্ণধার শাহাদাৎ শুভনকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে দাবিয়ে রাখা যাবে না।বরং তার দু’চোখের স্বপ্ন, দেশভাবনা, সাধারণ মানুষকে ভালোবাসার শক্তি আরও প্রখর করে দেয়।
একজন নেতা যুগে যুগে আসে না, কিন্ত অনেক নেতা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানের জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকেন। সবাই আবার রাজপথের কর্মীবান্ধব ছাত্রনেতা হতে পারেন না,কিন্তু নিসন্দেহে দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি শতভাগ কর্মীবান্ধব ছাত্র নেতা শুভন, যার কর্মীর সর্মথন, সহযোগীতা, প্রেরনা তাকে রাজপথের বরপুত্র করেছে এবং প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামকে সফল ও সার্থক করে তাকে করেছে জেলার ছাত্ররাজনীতির অভিভাবক।
শাহাদাৎ শুভন একদিনে তৈরী হয়নি, রাজপথ থেকে উঠে আসা নানান প্রতিযোগিতা ও সীমাবদ্ধতাকে জয় করে মানুষের ভালোবাসায় পরীক্ষিত ছাত্রনেতা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের জেলার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তরুন প্রজন্ম মাদকের সাথে সখ্যতা। মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, তরুনদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যান সাধনে শাহাদাৎ শুভন সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তার বিনয়,শ্রদ্ধাবোধ,নিরহংকার ও পরোপকারী মানুষিকতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বর, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তার গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আপামর শ্রেনীপেশার মানুষের প্রিয়পাত্র হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করতে পেরেছেন। সারাজীবন সকলের ভালোবাসায় অম্লান সদাহাস্যজ্বল প্রিয় বন্ধুবর শাহাদাৎ শুভন বেঁচে থাকুক তার কর্মে, তার জম্মদিনে এই প্রার্থনা।