শনিবার বিকালে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পূবার্চল অ্যাপারেল (পিএএল) গার্মেন্টসংলগ্ন জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই পোশাককর্মী উপজেলার পাঞ্জুরা এলাকার বাসানিয়া গ্রামের অমূল্য গোলছার ছেলে। তিনি পূবার্চল অ্যাপারেল লিমিটেডে কাজ করতেন।
নিহতের বাবা বলেন, গত বুধবার সকালে সবুজ কর্মস্থলে যায়। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। চার দিন পর স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি গার্মেন্টের পাশে জঙ্গলে ৯ টুকরো লাশ পাওয়া গেছে। পরে সেখানে গিয়ে আমার ছেলের লাশ শনাক্ত করি।
এদিকে শুক্রবার সকালে নিহত সবুজের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার বড় বোনের স্বামী সঞ্জিত গমেজের মোবাইলে একটি কল আসে। রিসিভ করার পর এক ব্যক্তি ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দাবির একদিন পর সবুজের লাশ উদ্ধার করা হলো।
জেলা সিআইডি ক্রাইমসিনের এসআই আজাদ যুগান্তরকে জানান, লাশের পায়ের একটি অংশ ও হাতের আঙুল পাওয়া যায়নি। মুক্তিপণের ফোন কলের সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।