ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোহাম্মদ আলী (১০) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে শহরের কাউতলী এলাকার ইব্রাহিমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদ আলী কাউতলী গ্রামের কাউছার মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক হুসাইন আহমেদকে আটক ও সিসি ক্যামেরা জব্দ করেছে পুলিশ।

নিহতের বাবা কাউছার মিয়ার অভিযোগ, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে খাবার দিতে এসে তিনি মাদ্রাসার একটি বাথরুমে ছেলের লাশ দেখতে পান। তখন তার পা মাটিতে লাগানো অবস্থায় ছিল।

পুলিশসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইব্রাহিমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসাটিতে ৭০-৭৫ জন শিক্ষার্থী আছে। সকালে পড়া না পারার কারণে মোহাম্মদ আলীকে বেদম মারধর করেন শিক্ষক হুসাইন আহমেদ।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, দুপুরে জোহরের নামাজের পর তারা মোহাম্মদ আলীকে খোঁজে পাচ্ছিল না। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থী বাথরুমে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে শিক্ষকদের জানায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।

মাদ্রাসার শিক্ষক মো. সানাউল্লাহ বলেন, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এর মধ্যে সামাইন নামে এক ছাত্র এসে আমাকে জানায়, বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় মোহাম্মদ আলীকে দেখেছে। পরে আমি সেখানে গিয়ে তার লাশ দেখতে পেয়ে অন্য হুজুরদের জানাই।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হুসাইন আহমেদ বলেন, সকালে পড়া না পারায় মোহাম্মদ আলীকে বেত্রাঘাত করি। পরে বিষয়টি তাকে বুঝিয়েও বলি। পড়া না পারার বিষয়টি তার বাবাকেও জানাই। দুপুরে বাথরুমে তার লাশ দেখতে পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই।

তিনি বলেন, আমি যদি হত্যা করে থাকি, তাহলে সিসি ক্যামেরাতেই সেটা ধরা পড়বে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।