মুজিববর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাচ্ছে ৮৩৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৪টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৫৮টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ১৭১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ৫৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ২৫৮টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবে এসব ঘর।
বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প বঙ্গবন্ধুর একটি স্বপ্ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী জেলার বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় সর্বপ্রথম আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন (যাদের জমি নেই ঘরও নেই) তাদের পুনর্বাসনের জন্য ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপে) জেলায় ৮৩৪টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ২ শতাংশ খাসজমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘর নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা। সব ঘর একই নকশায় নির্মিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। উপকারভোগীদের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আবেগের জায়গা। এই প্রকল্প নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগে গত ২২ মে আখাউড়া উপজেলার ইউএনও রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে কোথাও কোনো অনিয়ম হলে আপনার আমাকে জানাবেন। আমি সরজমিন পরিদর্শন করব।
তিনি বলেন, আগামী দিনে বেঁদে সম্প্রদায়ের কিছু লোককেও আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) কীর্তিমান চাকমা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাংবাদিক আল-আমীন শাহীন, মফিজুর রহমান লিমন, মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নিয়াজ মো. খান বিটু, বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।