গেল ঈদুল ফিতরে বাস, লঞ্চ কিংবা ট্রেনে যাত্রীদের খুব বেশি চাপ না থাকলেও কুরবানি ঈদে বেহাল অবস্থা সর্বত্র। রোজার ঈদে বেশিরভাগ মানুষ মোটরসাইকেল নিয়ে কিংবা রাইডশেয়ারিং করে বাড়ি ফিরেছিলেন। ফলে বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল না একেবারেই।
কিন্তু এবার মহাসড়ক এবং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এই ঈদযাত্রায় বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে উপচেপড়া ভিড় মানুষের।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) এবং আজ (শুক্রবার) সর্বোচ্চ চাপ সামাল দিতে হচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে। গতকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলেও আজ তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের ছাদে বিপদজনকভাবে ঈদ যাত্রা করতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। হাজার হাজার যাত্রীর চাপে বেসামাল রেল সংশ্লিষ্টরা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে স্টেশনে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আজ এবং কাল মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার যাত্রী ট্রেনে বাড়ি যাচ্ছে। আজ সকাল থেকেই স্টেশনে যাত্রীদের চাপ। ফলে রেলওয়ে পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রী নামানো সম্ভব হচ্ছে না। তারাও চাপ সমলাতে পারছে না।
ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে চড়া যাত্রীদের বিষয়ে মাসুদ সারওয়ার বলেন, যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে, বাফারে এবং ইঞ্জিনে না উঠতে নিষেধ করেছি আমরা। কিন্তু যাত্রীরা কারো কথা শুনছেন না।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) পোশাক কারখানা, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি হয়ে যায়। তাই আজ সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন যাত্রীরা। সকাল ১১টা পর্যন্ত ১৬টি আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।
কয়েকটি ট্রেনের বিলম্বিত যাত্রার বিষয়ে মাসুদ সারওয়ার বলেন, পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলো যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারছে। কিন্তু উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো ঠিক সময়ে কমলাপুর ছেড়ে যেতে পারছে না। এর মধ্যে কোনোটা ১-২ ঘণ্টা দেরিতে যাচ্ছে। এ ছাড়া সুন্দরবন এক্সপ্রেস প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে।