অবশেষে নিজের হাতে বোনা কাঁথা কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আইনমন্ত্রীকে উপহার দিতে পেরেছেন প্রতিবন্ধী দম্পতি শাহ আলম (৩৮) ও হনুফা বেগম (৩৫)। আজ শনিবার (৪ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ভিআইপি কক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র হাতে তারা কাঁথা তুলে দেন।
এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু ও আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, বাকপ্রতিবন্ধী শাহ আলম ও তার স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী হনুফা বেগমের নিজেদের কোন সহায়-সম্পদ নেই। এমন কি নিজেদের থাকার মতো কোন ঘরও ছিল না। কোন বাড়ি ঘর না থাকায় এই ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা মানুষের বাড়িতে ছোট্র ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। এই দম্পতির তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে। বাক প্রতিবন্ধী শাহ আলম রিকশা চালিয়ে এবং স্ত্রী হনুফা বেগম কাঁথা সেলাই করে যে টাকা আয় হতো, তা থেকে ঘরভাড়া দিয়ে তিন সন্তান নিয়ে সংসার চালানো অনেকটা কষ্টসাধ্য ছিল। প্রায় দেড় দুইবছর আগে বিষয়টি জানতে পেয়ে আমি তাদের দুজনের জন্যে পৃথক দুটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড ও ভিজিডির কার্ড করে দিয়েছি। পরবর্তীতে মুজিববর্ষে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারদের সরকারি ভাবে জায়গাসহ ঘর উপহার দেওয়া শুরু হলে সেই তালিকায় প্রাথমিক ভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই প্রতিবন্ধী দম্পতি কেন্দাই গ্রামে সরকারি আশ্রায়ণ প্রকল্পে জায়গা সহ ঘর পান। এই কারণে প্রতিবন্ধী হনুফা বেগম মাননীয় আইনমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে নিজ হাতে কাঁথা বোনেন। আজকে সেই কাঁথা মন্ত্রী মহোদয়কে নিজ হাতে উপহার দেন হনুফা বেগম। এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
প্রতিবন্ধী হনুফা বেগম বলেন, আমাদের মাথা গুজার ঠাঁই হয়েছে মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়ের জন্য। উনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের কাছে। এই কাঁথা নিজ হাতে খুব যত্ন করে বানিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম কবে মন্ত্রী মহোদয়কে দিব। অবশেষে দীর্ঘদিন পর নিজ হাতে উনার হাতে কাঁথা তুলে দিতে পেরেছি, তাতেই আমি অনেক খুশি। -(সরোদ)