ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রীর আত্মহত্যা, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 27 May 2022, 288 বার পড়া হয়েছে,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী অনামিকা সরকারের (২১) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি মারা যান।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দিনগত রাতে ডিএমপির তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।

অপূর্ব হাসান বলেন, অনামিকার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনামিকা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আমরা জানতে পেরেছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা আমরা এখনো জানি না। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতে আসেনি জানিয়ে ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে।
তবে অনামিকার পরিবারের দাবি, তাকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যা করেছেন রাজ কুমার বিশ্বাস।

অনামিকার বাবা অখিল কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন রাজকুমার বিশ্বাস আমার স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, ‘আপনার মেয়ের সাথে আমার আর ঘরসংসার হবে না। আপনার মেয়ে এসে নিয়ে যান।’ এরপর আমাকেও কল দেয় কিন্তু আমি রিসিভ করতে পারি নাই।

অনামিকার চাচা সঞ্জয় সরকার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ধারণা তাকে কোন কিছু খাওয়ায়ে মেরে ফেলা হয়েছে৷ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশিষ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, অনামিকার দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়, তবে আত্মহত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অনামিকার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজ কুমার ও অনামিকার বিয়ে হয় ২০১৯ সালে।
এর আগে গত রোববার (২২ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্ক সংলগ্ন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাসের সরকারি ডরমেটরিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনামিকা। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে, এরপর শহরের নিউ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ের নিউ ল্যাব এইড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক সাহেদ মিয়া বাবুল বলেন, প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের স্ত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। পরে আমাদের হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ২৩ মে তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। -(সরোদ)