ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে নজির আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে সরাইল থানায় পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ব্যবসায়ী নজির আহমেদের নির্মাণাধীন দোতলা বাড়ির জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী মোশায়েদ উল্লাহ মেম্বার ও তার লোকজনের বিরোধ চলছিল।
গতকাল রাতে মোশায়েদ মেম্বারের ঘনিষ্ঠজন জুম্মান নজিরের বাড়িতে ঢুকলে তাকে চোর হিসেবে অভিযুক্ত করে মারধর করেন এলাকাবাসী।
এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নজির ও জুম্মানকে থানায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ হেফাজতে নজিরের মৃত্যু হয়।
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
স্বজনদের একজন বলেন, ‘নজির অত্যন্ত সুঠামদেহী একজন মানুষ। সেই মানুষটা হেঁটে থানায় গেল, সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হলো, আর আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশ পেলাম। আমি মনে করি, এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো চক্রান্ত জড়িত।’
অপর এক আত্মীয় বলেন, ‘সুস্থ মানুষ কীভাবে লাশ হয়ে যায়, এটার তদন্ত চাই। আমরা যদি আইনের কাছে গিয়ে নিরাপদ না থাকি, মানবাধিকার যদি নিশ্চিত করতে না পারি, আমরা কার কাছে বিচার চাইব।’
তবে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী নজির হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর রাশেদ বলেন, ‘পুলিশের আচরণে সে মানসিকভাবে চরম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে চাইলে সেখানেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। তাদের দাবি, তড়িঘড়ি করে প্রতিপক্ষের নামে মামলা নেয় পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে যে অভিযোগটা করা হয়েছে যে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে, সেটা এখানে এন্ট্রি হয়েছে, মামলা রুজু হয়েছে এবং একজন আমাদের কাছে আটক আছে।
ব্যবসায়ী নজির আহমেদ রাজধানীতে ওষুধের ব্যবসা করতেন।