মোঃ রুবেল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হারানো ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে সরাইল থানা পুলিশ ।পরে উদ্ধাকৃত টাকার প্রকৃত মালিক মোঃ লোকমান মিয়া কে বুঝিয়ে দেন ওসি আসলাম হোসেন।
টাকার মালিক প্রবাসী মোঃ লোকমান মিয়া পুরো টাকা ফিরে পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ কে ধন্যবাদ জানান। সে সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ, লোকমান মিয়া তিনি অজ্ঞাতনামা অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে জয়ধরকান্দি বাজার থেকে রওনা দেন। ধরন্তী ব্রিজের কাছে এসে সিএনজি থেকে নামিয়া সিএনজির ভাড়া দিয়ে বিদায় করে দেন। ভুলবশত তার টাকা ভর্তি স্কুল ব্যাগটি অজ্ঞাতনামা সিএনজির সিটের পিছনে রয়ে যায়।
পরে টাকা ভর্তি ব্যাগটি খোঁজাখুঁজি করে না পাইয়া, তিনি সরাইল থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান।
সরাইল থানার ওসি মোঃ আসলাম হোসেনের দিক নির্দেশনায় এসআই মোঃ হোসনে মোবারক এ বিষয়টি আমলে নিয়া টাকার ব্যাগ উদ্ধারে অভিযানে নামেন।
সরাইল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ হোসনে মোবারক সঙ্গীয় ফোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অজ্ঞাতনামা সিএনজি যাত্রা সময় উপর ভিত্তি করে অভিযান পরিচালনা করেন। জয়ধরকান্দি সিএনজি স্ট্যান্ড হতে অজ্ঞাতনামা সিএনজির নাম্বার, ড্রাইভার ও সিএনজির মালিক শনাক্ত করতে সক্ষম হন। তিনি উক্ত সিএনজির ড্রাইভার ও সিএনজির মালিক নাম্বার সংগ্রহ করেন।
উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে সিএনজির ড্রাইভার ও মালিক কে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে টাকাভর্তি ব্যাগের স্বীকার করেননি, দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে টাকা ভর্তি স্কুল ব্যাগের কথা স্বীকার করেন।
সিএনজির ড্রাইভার মোঃ বাবুল মিয়ার দেওয়া তথ্যমতে তাহাকে সঙ্গে নিয়ে তাহার বাড়িতে স্থানীয় এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং হারানো টাকা ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকাসহ স্কুল ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, কৌশল খাটিয়ে দীর্ঘক্ষণ সিএনজির ড্রাইভাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে এক পর্যায়ে ড্রাইভার বাবুল টাকা ভর্তি ব্যাগের কথা স্বীকার করে।তার কাছে থাকা টাকাসহ ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই উদ্ধারকৃত ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার প্রকৃত মালিক প্রবাসী লোকমান মিয়া বুঝিয়ে দেওয়া হয়।।